প্রকাশিত: ৫:০৬ অপরাহ্ণ, অক্টোবর ২৮, ২০২৪

বান্দরবানে অনির্দিষ্টকালের জন্য হোটেল-রিসোর্ট বন্ধের আশঙ্কা

নিজস্ব প্রতিবেদক

খরচ পোষাতে না পেরে বান্দরবানে অনির্দিষ্টকালের জন্যহোটেল-রিসোর্ট-রেস্টুরেন্ট বন্ধ করে দেওয়া হতে পারে বলে আশঙ্কা করছেন হোটেল-রিসোর্ট রেস্টুরেন্ট ব্যবসায়ীরা।

সোমবার (২৮ অক্টোবর) হোটেল-রেস্টুরেন্ট ব্যবসায়ীদের সঙ্গে কথা বলে এতথ্য জানা যায়।ব্যবসায়ীরা জানান, সেবার মাধ্যমে সামান্য লাভের আশায় জেলা জুড়ে কয়েক শত লোক পর্যটন খাতে বিনিয়োগ করেছেন। এসব বিনিয়োগকারীদের মধ্যে অধিকাংশই ঋণগ্রস্ত। এদের সঙ্গে গণপরিবহন, চাঁদের গাড়ি, বার্মিজ স্টোর, ইঞ্জিনচালিত বোট, থ্রি হুইলার, ব্যাটারিচালিত অটোরিকশাসহ বিভিন্ন খাতে যুক্ত হয়ে জীবিকা নির্বাহ করছেন ২০ হাজারেরও অধিক মানুষ। যা সম্পূর্ণ পর্যটক নির্ভর। তবে ২০১৯ সাল থেকে করোনা ভাইরাস, বান্দরবানে ভয়াবহ বন্যা, সাম্প্রতিক সময়ে পাহাড়ের বিচ্ছিন্নতাবাদী সংগঠন কুকি চিন এর সন্ত্রাসী কর্মকাণ্ডের পরিপ্রেক্ষিতে লাগাতারভাবে বান্দরবানের পর্যটন স্পটগুলোতে ভ্রমণে নিষেধাজ্ঞা আরোপ করা হয়েছিল। বিগত কয়েকমাস আগে সীমিত পরিসরে কিছু স্পট পর্যটকদের ভ্রমণের জন্য খুলে দেওয়া হয়েছিল। কিন্তু দেশের বিরাজমান রাজনৈতিক অস্থিতিশীল পরিস্থিতির কারণে কাঙ্ক্ষিত পর্যটক ভ্রমণে আসতে পারেননি। ফলে এখানকার পর্যটন সংশ্লিষ্ট ব্যবসাগুলোতে ব্যাপক ধস নামে। সর্বশেষ গত ৮ অক্টোবর থেকে ৩১ অক্টোবর পর্যন্ত পর্যটকদের বান্দরবান ভ্রমণে নিরুৎসাহিত করেছে জেলা প্রশাসন। যার কারণে ব্যয়ভার মেটাতে না পেরে কর্মী ছাঁটায়সহ প্রতিষ্ঠান বন্ধ করে দিয়েছে অনেক বিনিয়োগকারী।

হোটেল ডিমোরের ম্যানেজার হ্যাপী মারমা জানান, তিন তারকা মানের তাদের হোটেলটিতে দৈনিক অন্তত ৫০ হাজার টাকা খরচ হয়। পর্যটকের উপস্থতি না থাকায় তাদের হোটেলটি চলতি মাসের গত ৫ তারিখ থেকে বন্ধ করে দেওয়া হয়েছে।

রেস্টুরেন্ট মালিক সমিতির সভাপতি গিয়াস উদ্দীন মাস্টার জানান, দীর্ঘদিন ধরে পারিপার্শ্বিক কারণে পর্যটকের উপস্থিতি আশানুরুপ নাই। এ কারণে ব্যাপক ক্ষয়ক্ষতির সম্মুখীন হয়েছেন রেস্টুরেন্ট ব্যবসায়ীরা। খরচ পোষাতে না পারায় ইতোমধ্যে বেয়াই বাড়ি, গার্ডেন সিটি, কলাপাতাসহ জেলা সদরের প্রায় ২৫ রেস্টুরেন্ট বন্ধ হয়ে গেছে। আগামী ৩১ তারিখের পর চলতি ভ্রমণে নিষেধাজ্ঞা শিথিল করা না হলে আরও অনেক রেস্টুরেন্ট বন্ধ হয়ে যাবে বলে আশঙ্কা করছেন তিনি।